কিশোরগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে র্যালি ও মানববন্ধন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধ: নীলফামারী-০৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এ প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করে মনোনয়ন বঞ্চিত সদ্য সাবেক সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানার কয়েকশত সমর্থন। রিয়াদ আরফান সরকার রানা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মরহুম অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারের ছেলে।
ওইদিন সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার রানার সমর্থকরা স্থানীয় কিশোরগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভিতরে একত্রিত হয়।পরে তারা উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলি প্রদক্ষিণ করে কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে। ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা সীমিত হয়ে আসে। রিয়াদ আরফান সরকার রানার সমর্থকরা হাতে হাতে নানা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিভিন্ন কথা লেখা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দাড়িয়ে তারের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তাদের প্রধান দাবি ছিল। দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বিতর্কিত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিক করা হোক। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সমর্থকরা জানান, সঠিক ব্যাক্তিকে মনোনয়ন না দেওয়া পযর্ন্ত তাদের এই প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অনেকেই অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের বদলে রিয়াদ আরফান সরকার রানাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী রিয়াদ আরফান সরকার রানা বলেন আমার বাবা মরহুম আমজাদ হোসেন সরকার ভজে সাবেক সংসদ সদস্য তিনি বিএনপি থেকে কয়েকবার এই সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি মনোনীত এমপি ছিলো। রিয়াদ আরফান সরকার রানা বলেন, আমাকে এই নীলফামারী-০৪ সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জ আসনে বিএনপি মনোনীত করা হলে বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি, আর তা না হলে বিএনপির এই আসন হারানোর সম্ভাবনা ১০০% রয়েছে বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সেই সময় দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।সম্পত্তি তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
