বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট তৌকিরের মৃত্যুতে শোকাহত গ্রামবাসী
ঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগর এর জন্মভূমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা চককীর্তি ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামজুড়ে।
গ্রামবাসীর মন্তব্য, আমাদের এলাকার গর্ব এবং সবার ভালোবাসার পাত্র ছিলেন পাইলট তৌকির ইসলাম সাগর। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা চাই এ গ্রামেই তার জানাযা ও দাফন করা হোক।
ঐ গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, তৌকির ইসলাম সাগর ও তার পরিবার দানশীল ও পরপকারী। পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরও অত্যন্ত ভাল মানুষ। তিনি এখানে জন্মগ্রহণ করলেও বড় হয়েছেন রাজশাহীতে। তবে তিনি ভূলে যাননি এলাকার সাধারণ মানুষের কথা। যখনই এলাকার কোন রোগী রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য গেছেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর নিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন।
এলাকার এক শিশু শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ কান্নাজরিত কণ্ঠে বলেন, সাগর কাক্কু খুব ভালো ছিলেন। বাড়ি আসলেই আমাদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেন এবং আদর করতেন। খাতা কলম কেনার টাকা দিতেন।
প্রতিবেশী আলাউদ্দিন, আবদুল লতিফ ও আলহাজ শান্তিজুল বলেন, সাগরের পরিবার একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। তারা এখানে না থাকলেও সার্বক্ষণিক এলাকার খোঁজখবর নিতেন। তিনি যথেষ্ঠ ধর্ম পরায়ন ছিলেন। তার পিতা তোহরুল ইসলাম ও মাতা সোলেহা বেগম মসজিদের জন্য জমি দান ও মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছেন। পৈত্রিক বাড়িতে এখন কেউ বসবাস করেন না। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী ও ঢাকায় বসবাস করে আসছেন।
তৌকিরের চাচাতো ভাই সেলিম রেজা জানান, ছোট ভাইয়ের আকস্মিক দুর্ঘটনায় আমরা শোকাহত ও স্তব্ধ। তার জানাজা ও দাফন রাজশাহীতে হতে পারে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট তৌকির ইসলাম সাগর নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাইলট তৌকির ইসলাম।